
বলিউড ইন্ডাস্ট্রি অনেক তারকাদের উত্থান দেখেছিল যারা খুব অল্প সময়ের জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পেরেছিল। তাদের কর্মজীবনের মেয়াদ ছিল সম্ভবত 4-5 বছর। তবে এই অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ইন্ডাস্ট্রিতে ছাপ রেখে গেছেন। সিনেমার পর্দায় তাদের আর দেখা না গেলেও দর্শক তাদের খোঁজে।
বলিউডের এমনই একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি তনুশ্রী দত্ত. বাঙালি মেয়ে তনুশ্রী বলিউডে গিয়ে বেশ সুনাম পেয়েছেন। এর আগে তিনি মিস ইন্ডিয়ার খেতাবও জিতেছিলেন। এই সময়েই তিনি সৌন্দর্য এবং অভিনয়ের দিক থেকে তার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শুরু করেন। কিন্তু তারপর একটি ঘটনা তার জীবন বদলে দেয়।
তনুশ্রী 1984 সালে জামশেদপুরের একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি 2004 সালে 20 বছর বয়সে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন। এরপর তিনি মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার মন তৈরি করেন এই বাংলার মেয়ে।
তনুশ্রী 2005 সালে বলিউডে প্রবেশ করেন। ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছিল তার প্রথম ছবি। এই ছবিতে তাকে এমরান হাশমির সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গেছে। প্রথম ছবিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। পরবর্তী পাঁচ বছরে তিনি পেয়েছেন অনেক সুপারহিট ছবি।
একের পর এক ‘চকোলেট’, ‘ভাগাম ভাগ’, ‘ঢোল’, ‘গুড বয় ব্যাড বয়’-এর মতো বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে ২০১০ সালে ‘অ্যাপার্টমেন্ট’ ছবির পর তাকে আর ইন্ডাস্ট্রিতে দেখা যায়নি। তারপর 2018 সালে হঠাৎ করেই লাইম লাইটে আসে তার নাম। বলিউডে ‘মি টু’ আন্দোলনের জন্য নানা পাটেকরকে অভিযুক্ত করেন তিনি।
তনুশ্রী সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন যে 2008 সালে ‘হর্ন ওকে’-এর শুটিং চলাকালীন নানা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু তার প্রতিবাদ করায় তার একটি গান ছবিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর অভিনয়ের সুযোগ কম পান। কিন্তু এত বছর পর আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শিগগিরই বলিউডে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।