নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নেই। ফলে একদিকে শিক্ষক সমস্যায় ভুগছে বিদ্যালয়গুলো, অন্যদিকে চাকরির পরীক্ষায় বসতে না পেরে ক্রমশ হতাশার দিকে যাচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, আগে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এরপর অন্যদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে। এবার রিজার্ভেশন নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এতদিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্বাচন করত ব্যবস্থাপনা কমিটি। তাই ওই পদে নিয়োগে সংরক্ষণের প্রশ্নই ওঠে না। এ বার থেকে অবশ্য স্কুল প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এ বিষয়ে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সোমবার বলেন, আগে প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা ছিলেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এখন অধ্যক্ষের নিয়োগকর্তা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষকদের ‘একক ক্যাডার পদ’ হিসেবে নিয়োগ করত। একক ক্যাডার পদে কোনো সংরক্ষণ ছিল না। কিন্তু এই সময় থেকে ওই পদে সাধারণ নিয়োগের ব্যবস্থা থাকায় সংরক্ষণের নীতি অনুসরণ করতে হবে।
সিদ্ধার্থ বাবু আরও বলেছিলেন যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষার নম্বরের পার্থক্যের জন্য আগের একাডেমিক স্কোরগুলি হেরফের হয়েছিল। এখন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থী কোন লেভেল পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়েছেন, নিয়োগের সময় তার ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে। কোন পরীক্ষায় কে স্কোর করেছে তার ভিত্তিতে মার্কস দেওয়া হবে না।