
বলিউড দুই সমসাময়িক অভিনেত্রী রানী মুখার্জি এবং ঐশ্বর্য রাই. তারা একই সময়ে শিল্পে প্রবেশ করে। একটা সময় ছিল যখন এই দুই অভিনেত্রী ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তারা একে অপরের মুখের দিকে তাকাতেও পছন্দ করত না। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে এর পেছনে তিনটি প্রধান কারণ ছিল।
ঐশ্বরিয়া ও রানি তখন বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন। সালমান খানের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার প্রেম ও ঝামেলা তখনই চলছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে শাহরুখ খানের সঙ্গে প্রথম ছবি করার সুযোগ পান ঐশ্বরিয়া। ‘চলতে চলনা’ হতে পারত শাহরুখ-ঐশ্বরিয়ার প্রথম ছবি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, শুটিং সেটে গিয়ে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন সালমান খান।
দুজনের ঝগড়া এতটাই বেড়ে যায় যে শাহরুখ এগিয়ে আসেন মধ্যস্থতা করতে। আর ঠিক সেই সময় সালমান ঘুরে শাহরুখের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। শাহরুখ এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে তিনি তৎক্ষণাৎ নায়িকা বদলানোর সিদ্ধান্ত নেন। ঐশ্বরিয়ার পরিবর্তে তিনি রানিকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেই অনুযায়ী শুটিং হয়। এতেই ছিঁড়ে যায় এই দুই অভিনেত্রীর বন্ধুত্ব।
তবে এটাই একমাত্র কারণ ছিল না, সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর বিয়ে করেন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক বচ্চন। এদিকে রানি মুখার্জির সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের প্রেমের খবর সবাই জানতেন। যদিও রানি ও অভিষেকের সম্পর্ক ভেঙে গেছে অনেক আগেই। আসলে অভিষেকের মা জয়া চাননি রানি তার ঘরের স্ত্রী হোক।
প্রথমে তিনি রানিকে তার ছেলের স্ত্রী হিসেবে পছন্দ করেছিলেন, কিন্তু রানি মুখার্জি যেহেতু ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন, তাই পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেন জয়া। এরপর রানির পরিবর্তে অভিষেককে বিয়ে করেন ঐশ্বরিয়া। এমনকি এই বিয়েতে রানি মুখার্জিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এতে তিনি বেশ অপমানিত বোধ করেন।
রানি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাকে আমন্ত্রণ জানানো না হলেও বিয়েতে তিনি অবশ্যই যাবেন। কিন্তু রানি ও ঐশ্বরিয়াকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। একসঙ্গে সিনেমা করার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একে অপরকে এড়িয়ে চলেন তারা।