
যেমন মাছ বাংলা প্রিয়তমা ঠিক তেমনই পাফড রাইস এছাড়া বাংলা চলে না। বাঙালির সপ্তাহে পাঁচ দিন মাছ-ভাত আর মাটিতে ঝুলে থাকা মানেই মুড়ি-চানাচুর। তাই মাছ-ভাতের মতো মুড়িও বাঙালির প্রিয় খাবার। তবে আজ থেকে নয়, এই মুড়ির সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক বহু আগে থেকেই। এক সময় ইংরেজ আমলে বিপ্লবীরাও বিভিন্ন চপের দোকানে ভিড় জমাতেন। আর সেখানে চপ দিয়ে মুড়ি খেতেন।
কিন্তু সময় বদলে গেলেও বাঙালি এখনও তৃপ্তির সঙ্গে খায় তার প্রিয় চপ মুড়ি। আজ বাঙালির বাড়িতে সন্ধ্যা মানেই চানাচুর, ঝুরি ভাজা, সেদ্ধ আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, টমেটো আর চাপ দিয়ে মুড়ি। অনেকে আবার অফিস থেকে এসে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মুরিদি খায়। আর অনেকে রাতের খাবারে দুধ ও দই থাকে।
তবে শুধু বাড়িতেই নয়, বাইরে যাওয়ার সময়ও ঝালমুড়ির ঠোঙা ভরতে হবে। অবশ্য শুধু ঝাল মুড়ি নয়, ভেলপুরির মতো উত্তর ভারতীয় খাবারও রয়েছে। তবে শুধু শরীর ভালো থাকলেই নয়, শরীর খারাপ থাকলেও পানি আছে। এই খাবার খেলে শরীর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই দেশি খাবারকে বিদেশে কী বলা হয়?
এছাড়াও বিদেশে, ইংল্যান্ড বা ইতালি হোক, আপনি সর্বত্র পোশাক খুঁজে পেতে পারেন। তাই বিলেতে যেতে হলে বলতে হবে ফুচকা ভাত। আসলে বাংলা ছাড়াও ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশেই মুড়ি খুবই জনপ্রিয় খাবার, তাই আপনি সেখানে মুড়ি কিনতে যেতে পারেন।
দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও মুড়ি অন্য নামে পরিচিত। অনেকেই হয়তো জানেন না যে উত্তর ভারতে অর্থাৎ হিন্দিভাষী প্রদেশে ভুড়িকে অন্য নামে ডাকা হয়। মুড়িকে বিহার বা উত্তর প্রদেশে ‘মুরমুরে বা মুরমুরা’ বলা হয়।
তবে মুড়ির যেমন ভালো গুণ রয়েছে, তেমনি মুড়িরও কিছু খারাপ গুণ রয়েছে। বাঙালি খাবার হওয়া সত্ত্বেও ডায়াবেটিস রোগীদের মুড়ি থেকে দূরে থাকতে হবে। তাই এই সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের মুড়ি না খাওয়াই ভালো।