
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গোসল সেরে খাওয়া-দাওয়া সেরে পোশাক পরতে হবে দপ্তর তাই জন্য ত্বকের যত্ন অনেক নেওয়া হয় না। কিন্তু ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে ত্বকের যত্ন খুবই জরুরি। কারণ আমরা যখন বাড়ির বাইরে যাই তখন আমাদের ত্বক সূর্য, ধুলাবালি ও দূষিত ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসে, ফলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাইরে থেকে বাসায় ফেরার পর ত্বক ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তাও বাইরে যাওয়ার আগে সূর্যের ত্বক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে. এছাড়াও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বকে ৩০ মিনিট ম্যাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
ঘি (স্পষ্ট মাখন): খাবারে ঘি যোগ করার প্রবণতা রয়েছে। তাই প্রায় সবার রান্নাঘরে ঘি থাকে। আবার শুষ্ক ত্বকে প্রাণ আনতে পারে ঘি। কারণ ঘিতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এজিং গুণ রয়েছে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে ঘি লাগালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। রাতে ঘুমানোর আগেও ঘি লাগাতে পারেন।
পাকা পেঁপে: পাকা পেঁপে মুখে লাগালে ত্বকের ছিদ্র কমে যায়, মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। কারণ ত্বকে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফাইবার। কিন্তু পেঁপে ত্বকের জন্য যেমন ভালো তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।
নারকেল তেল: ত্বকে নারকেল তেল লাগালে ব্রণ ও রোদে পোড়া দাগ দূর হয়। নারকেল তেল ত্বককে আর্দ্র রাখে। এছাড়াও নারকেল তেল ত্বকে লাগালে স্কিন ইনফেকশনের সম্ভাবনা কম থাকে। তাই ত্বকের যত্নে নারকেল তেল খুবই কার্যকরী।
মধু: নারকেল তেলের মতো মধুও বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে মধুর সঙ্গে কিছু উপাদান মিশিয়ে মুখে লাগালে উপকার পাবেন। যেমন মধুর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ত্বক মসৃণ হয়। এছাড়াও ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা যেমন ব্রণ এবং আরও অনেক সমস্যা এখন আর দেখা যায় না।
ভিটামিন ই তেল: ভিটামিন ই তেল ত্বকের যত্নে খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ত্বকে ভিটামিন ই তেল লাগান এবং প্রতিদিন সকালে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন এই নিয়ম মেনে চললে কম বয়সে ত্বকে জবরদস্তির ছাপ পরবে না।