RBI Cancelled 3 Bank License: 3 টি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে RBI, সব টাকা পাবে না গ্রাহকরা। যাদের টাকা আছে এই ব্যাংকে তারা তাদের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবে পাবে না।
3 টি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করলো RBI
রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম না মানায় করা পদক্ষেপ নিল তিনটি ব্যাংকের উপর। আরবি অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাংক দেশের সমস্ত প্রাইভেট সরকারি এবং পাবলিক সেক্টর ব্যাংক অথবা ফিনান্সিয়াল হাউজগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। আরবিআই এর নিয়াম মেনে সমস্ত ব্যাংকগুলিকে তাদের পরিষেবা প্রদান করতে হয়।
যদি কোন সময় কোন ব্যাংকের মধ্যে কোন অনিয়ম দেখা যায় তখন রিজার্ভ ব্যাংক সেইসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। কারণ একটি ব্যাংকের উপর নির্ভর করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের কার্যকলাপ হয়। একটি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে তার প্রভাব সমাজে সর্বস্তরেই পড়ে।
সেজন্য রিজার্ভ ব্যাংক প্রতিমুহূর্তে প্রত্যেকটি ব্যাংকের উপর করা নজর রেখে চলেছে। প্রত্যেকটি ব্যাংকের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা জমা, তোলা, লোন দেওয়া ইন্সুরেন্স যাবতীয় কাজ ক্রেডিট ডেবিট যাবতীয় কার্যকলাপ এর উপর করা নজর রাখে রিজার্ভ ব্যাংক।
ব্যাংকের এইসব কার্যকলাপের মধ্যে কোথাও ত্রুটি দেখা গেলে রিজার্ভ ব্যাংক তাদের উপর জরিমানা ধার্য করে। বেশি অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করে দিতে পারে রিজার্ভ ব্যাংক।
কোন কোন ব্যাংকের উপর এই পদক্ষেপ নিল রিজার্ভ ব্যাংক
রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম না মানায় তিনটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই তিনটি ব্যাংকের উপর জরিমানা ধার্য করেছে।
এই তিনটি ব্যাংকের মধ্যে একটি হল মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে অবস্থিত ডঃ আম্বেদকর নাগরিক সরকারি ব্যাংক মর্যাদিত। এই ব্যাংকের উপর মোটা অংকের জরিমানা ধার্য করেছে সেই সঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে নিয়ম না মানলে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার কথা বলেছেন রিজার্ভ ব্যাংক।
এছাড়া অন্য দুটি ব্যাংক হল রবি কমার্শিয়াল আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড এবং মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় অবস্থিত নাগরিক সরকারি ব্যাংক মর্যাদিত।

রবি কমার্শিয়াল আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংকের উপর এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে রিজার্ভ ব্যাংক।
এবং রিজার্ভ ব্যাংক বলেছে এই কড়া নির্দেশ না মানলে এবং রিজার্ভ ব্যাংকের বিভিন্ন রুলস ফলো না করলে আগামীতে এই তিনটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। যার ফলে গ্রাহকরা সমস্যা করতে পারেন।
রিজার্ভ ব্যাংক এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে কারণ এই ব্যাংকের কার্যকলাপ মোটেই নিয়মমাফিক হচ্ছে না এভাবে চললে ব্যাংক খুব তাড়াতাড়ি দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে।
এইসব ব্যাংকের উপর অভিযোগ তাদের NPA এর পরিমাণ অধিক এবং তারা বিভিন্ন গ্রাহকের ইন্টারেস্ট সঠিকভাবে দিচ্ছে না।
NPA পরিমাণ খুব বেশি হয়ে গেলে একটা ব্যাংকের পক্ষে তার কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। কারণ তাদের অধিক টাকা বাইরে পড়ে থাকে যেখান থেকে তাদের কোন আয় হয় না । যার ফলে তাদের পক্ষে গ্রাহকদের ইন্টারেস্ট দিতে সমস্যা হতে পারে।
আরো খবর জানতে আমাদের ওয়েবসাইট Bangla Daily প্রতিদিন ভিজিট করুন।